X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৭ বৈশাখ ১৪৩১

ইশারায় সে ফিরিয়ে দিয়েছে চিল

পরিতোষ হালদার
০৭ এপ্রিল ২০২১, ১৭:৪২আপডেট : ০৭ এপ্রিল ২০২১, ১৭:৫৯

শ্রাবণ শিকার

ঘুম খুলে দেখো, বিছানায় একুশ পাখি। বুকের ভেতর অন্ধকার, অন্ধকারে—
পাথর

নিমগাছ।

নিমগাছ—তোমার বাড়ি যাব। আগামী চন্দ্রবিন্দু থেকে তুমি আমার প্রেমিক হবে।

আর

পাথর—তুমি কাল এসো, তোমাকে চকলেট দেবো। রানওয়ের ওপারে শব্দ দেখতে দেখতে আমরা তো অজ্ঞান।

মিলিত বোধই বকুল, যার বাইরে বোধের আকাশ।

শরীরে মুদ্রা নাচে—শম ও সমতা নাচে। তবু নির্বাক আমি।

পকেটে বৃষ্টি বৃষ্টি... সপ্তম বৃষ্টিতে তুমিও বাঘ।

ভাষাকুণ্ডের একজন শ্রাবণ শিকার।


নাম

ও পাথর, দেখো স্কুল এনেছি, এই নাও রোলকল—কল্প ও সংকল্প।
কোথাও সূচনা নাই, যা আছে তার নাম জুঁই। আমি রাতভর গর্জন আঁকি।
হরিণকে ডেকে বলি—পিনকোড মুখস্থ করো
আর
গতি ভুলে হয়ে ওঠো বর্ণাঢ্য পুতুল।

তুমি তো নামতা বানাতে পারো। শরীরে লাগিয়ে দাও ডানা—তারপর উড়াল, তারপর বসন্তকাল।

কে যেন বলেছিল, একদিন সংখ্যার নাম হবে পাহাড়,
পাহাড়ের নাম আকাশ, আকাশ হবে আংটি।
তাকে পেলে বলতাম—
বাপু
কবে শুরু হবে তোমার নামের হিরিকিরি।


শিলং

পায়ে যে হরিণরেখা, তারা নিজেকে ঘুঙুর নামে ডাকে।
যতটা রোদ, তার নাম ঝিলিক।
যে মেঘ—সে ময়ূর।
পাথর থেকে যেতে যেতে তুমিও অশেষলিপি।

একদিকে গ্রহণ ও অগ্রহায়ণ, অন্যদিকে জলপাই গাছের নিচে জ্যোতিষ মেলা।
নক্ষত্র বেড়াতে এসে একা একা ভবঘুরে পাখি।

যারা অসুরকে ডেকে নিয়ে সুর ছড়ায়। মহুল ফুটে গেলে বর্ণ বাজে।
সপ্তমে ফেটে যায় জল...

শিলং আমার পিতামহ, যেখানে উনপঞ্চাশ জন্ম আমি রেখে এসেছি।


মূর্ছনা

মূর্ছনা একটি বাঘ, হঠাৎ লোকালয়ে ঢুকে হয়ে যায় বাদ্যযন্ত্র। সুরও সহজরেখা, না হয় এয়ারপোর্টে ঘুমিয়ে পড়া কোনো সাদাপরি।

চলো, জন্ম আঁকি আর শব্দকুঞ্জে একবার ক্রোধ হয়ে ফুটি। ভুলে যাওয়া অঞ্চমালা যেন বর্ণ, জন্মান্তরে অসংখ্য এপ্রিল।
ও মাতাল পাখি, দেখো সামনে লোহার আকাশ।

লগপুস্তকে তুমিও নৈরাজ্য, উত্তর অব্দি এগিয়ে প্রশ্নে মিলিয়ে যাও।
ফিরে আসা, যা তোমার ডাহুক বদল।

এবার দশ পৃষ্ঠার বন্দুক খুঁজে নাও তারপর কেঁদে ভাসিয়ে দাও পুরো এপিসোড।


রেলগার্ড

একটা শরীর, সাতের নামতা জুড়ে আমি তারে বলেছি—
তুই ঘাস হ...

ইশারায় সে ফিরিয়ে দিয়েছে চিল, দোতালা বাড়ির জাঁকজমক আর কিছু পুরানো পুথি।

একটি অ্যালার্ম ঘড়ি ও বাকি জন্মের কিছু প্লানচেট ছিল,
কন্যা ছিল, পুত্রধারা ছিল তার।
শুধু ছিল না জল...
তিনটা সানাই ছিল। দুজনার বিয়ে হয়ে গেলে অন্যজন সুর হয়ে বাজে।

তবু সিমেট্রিরোড ধরে হেঁটে যায় নারীদের দল; চোখ ও চোখে তার জোড়া জোড়া রেলগার্ড নদী।

/জেডএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সরকারি প্রতিষ্ঠানে একাধিক পদে চাকরি
সরকারি প্রতিষ্ঠানে একাধিক পদে চাকরি
এখনই হচ্ছে না হকির শিরোপা নিষ্পত্তি, তাহলে কবে?
এখনই হচ্ছে না হকির শিরোপা নিষ্পত্তি, তাহলে কবে?
রবিবার গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
রবিবার গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
চুয়াডাঙ্গায় ৪২ পেরোলো তাপমাত্রা, জনজীবনে হাঁসফাঁস
চুয়াডাঙ্গায় ৪২ পেরোলো তাপমাত্রা, জনজীবনে হাঁসফাঁস
সর্বাধিক পঠিত
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
দুর্নীতির অভিযোগ: সাবেক আইজিপি বেনজীরের পাল্টা চ্যালেঞ্জ
দুর্নীতির অভিযোগ: সাবেক আইজিপি বেনজীরের পাল্টা চ্যালেঞ্জ
ইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
সারা দেশে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় ছুটি ঘোষণা
সারা দেশে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় ছুটি ঘোষণা
দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি