দেশের বাজারে চাহিদা থাকায় প্রথমবারের মতো দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে তেঁতুলের বিচি আমদানি করা হচ্ছে। মশা মারার কয়েল তৈরির কাঁচামাল ও শাড়িতে ব্যবহৃত রং এর কাঁচামাল হিসেবে এই তেঁতুলের বিচি ব্যবহৃত হয় বলে আমদানি সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
শনিবার (৬ মার্চ) বিকালে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে তিনটি ট্রাকে ৯০ মেট্রিক টন তেঁতুলের বিচি আমদানি করা হয়। চট্টগ্রামের উজ্জল শাহ নামের এক আমদানিকারক এগুলো আমদানি করেন। হিলি স্থলবন্দর থেকে এর খালাস কার্যক্রম সম্পন্ন করছে যমুনা ট্রেডিং করপোরেশন নামের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট। প্রতি টন তেঁতুলের বিচি ২০০ মার্কিন ডলার মূল্যে আমদানি করা হচ্ছে। সেই মূল্যেই কাস্টমস কর্তৃপক্ষ শুল্কায়ন করছে। টন প্রতি এক হাজার ৬০০ টাকা শুল্ক দিয়ে পণ্য ছাড় করা হচ্ছে। আজ তৃতীয় দফায় বন্দর দিয়ে এই তেঁতুলের বিচি আমদানি করা হয়েছে। এর আগে আরও দুই চালান তেঁতুলের বিচি আমদানি হয়েছে।
আমদানিকারক মনোনীত সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট অনিক সরকার বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, আজ হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চট্টগ্রামের উজ্জল শাহ নামের আমদানিকারকের তিন ট্রাক তেঁতুলের বিচি আমদানি করা হয়েছে। আমদানিকারকের মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট হিসেবে আমি বন্দর থেকে খালাসের কাজ সম্পন্ন করছি। আজ বন্দরে এসব তেঁতুলের বিচি প্রবেশ করেছে। আগামীকাল রবিবার শুল্ক পরিশোধ করে আমদানিকারকের কাছে পণ্য সরবরাহ করা হবে।
তিনি জানান, দেশে মশা মারার কয়েল তৈরির কাঁচামাল হিসেবে ও শাড়িতে ব্যবহৃত রং এর কাঁচামাল হিসেবে তেঁতুল বিচি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বর্তমানে মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় ব্যাপক হারে মশা মারার কয়েল তৈরি হচ্ছে। ফলে দেশের বাজারে কয়েল তৈরির কাঁচামাল হিসেবে এই তেঁতুলের বিচির বেশ ভালো চাহিদা রয়েছে। দাম ভালো থাকায় ভারত থেকে এসব বিচি আমদানি করা হচ্ছে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে আমদানিকৃত তেঁতুলের বিচি।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল, গম, ভুট্টা, পাথর পেঁয়াজসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি হলেও এই প্রথম বন্দর দিয়ে তেঁতুলের বিচি আমদানি হচ্ছে। আজ শনিবার ভারত থেকে তিনটি ট্রাকে ৯০মেট্রিক টন তেঁতুলের বিচি আমদানি করা হয়েছে।