ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে লেখক মুস্তাক আহমেদের মৃত্যুর তদন্ত করার দাবি জানিয়েছে ৯টি বামপন্থী সংগঠন। রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে সংগঠনগুলোর নেতারা এ দাবি জানান।
এই ৯টি সংগঠন হলো— বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় পাঠচক্র ফোরাম, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চা, জাতীয় গণফ্রন্ট, গণমুক্তি ইউনিয়ন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চ, বাসদ (মাহবুব) ও কমিউনিস্ট ইউনিয়ন।
রাষ্ট্রীয় হেফাজতে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর তদন্ত ও বিচার, খুলনায় পাটকল আন্দোলনের নেতা রহুল আমিনের নিঃশর্ত মুক্তি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও শাহবাগে ছাত্রছাত্রীদের শান্তিপূর্ণ মশাল মিছিলে পুলিশের বর্বরোচিত হামলা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম বলেন, ‘সরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতা রুদ্ধ করছে। লেখক মোস্তাক আহমেদ কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছেন, যাকে রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ড বলে আমরা মনে করি।’
তিনি বলেন,‘দেশে এতটাই উন্নয়ন চলছে যে, মত প্রকাশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। খুলনায় পাটকল নেতা রুহুল আমিনকে গ্রেফতার করেছে সরকার। সরকারকে পরিষ্কার বলতে চাই— ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে। মোস্তাক আহমেদের মৃত্যুর তদন্ত করতে হবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে।’ বাসদ (মাহবুব) কেন্দ্রীয় নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরী লিটন বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালিয়ে টিকতে পারবেন না, ক্ষমতা চিরস্থায়ী না।’ নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চা সভাপতি জাফর হোসেন বলেন, ‘মিল শ্রমিকরা যখন কর্মহীন তখন আপনারা মেট্রো রেলপথ শুধু দেখাচ্ছেন।’ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে জনগণকে শোষণ করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
গণমুক্তি ইউনিয়নের নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আজকে শুধু লেখার কারণে, মত প্রকাশ করার কারণে কারাগারে নেওয়া হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে লেখক মুস্তাক আহমেদকে খুন করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বড় বড় কথা বলেন— ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে। জনগণের নিরাপত্তার জন্য নাকি এই আইন দরকার।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে হতো পুকুরচুরি, এখন সাগর চুরি হচ্ছে।’ সরকার আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত বলেও এ সময় উল্লেখ করেন তিনি।
