রাজধানীর পুরান ঢাকার কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে এক ব্যবসায়ীর ৯০ ভরি সোনা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার দুই আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একইসঙ্গে এক আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেন আদালত।
রিমান্ডে যাওয়া দুজন হলেন— আলমগীর হোসেন ও এমদাদুল হক।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী শুনানি শেষে রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন,‘এদিন কোতোয়ালি থানার এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদনসহ তাদের আদালতে হাজির করেন। অপর আসামি ইব্রাহিম স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করে তাকেও আদালতে হাজির করা হয়। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক দুজনকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আর আসামি ইব্রাহিমের জবানবন্দি আদালত। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক এসএম সাকিব হোসেন ও আমিনুলকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আর গত সোমবার (১৮ জানুয়ারি) আসামি জীবন ও রতন দোষ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
উল্লেখ্য, ১২ জানুয়ারি পুরান ঢাকার জিন্দাবাহার লেনের এক সোনা ব্যবসায়ী কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, ৭ জানুয়ারি ডিবি পুলিশ পরিচয়ে কয়েক ব্যক্তি বাদীকে তুলে নিয়ে ৯০ ভরি সোনা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। অজ্ঞাত ওই ব্যক্তিরা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয়।
মামলা দায়েরের পর পুলিশ প্রথমে ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তির দুই কর্মচারীকে আটক ও জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক সাকিব হোসেনের নাম জানালে সোমবার (১৮ জানুয়ারি) সিপাহী আমিনুল ও সোর্স হারুনসহ সাকিবকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গেছে, সহকারী পরিচালক সাকিব হোসেন মুন্সীগঞ্জ জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তবে মাসখানেক ধরে তিনি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করার জন্য রাজধানী ঢাকায় অবস্থান করছেন।
আরও পড়ুন:
৯০ ভরি সোনা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার মাদকের সহকারী পরিচালক রিমান্ডে