X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রয়াত বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে চান দুই ভাই

তানজীম আহমেদ
০৮ জানুয়ারি ২০২১, ২১:৫৮আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২১, ২২:০৬

প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাক সোনা মিয়া ছিলেন বাংলাদেশের হকি অঙ্গনের অন্যতম উজ্জ্বল তারকা। ‘বাংলার টাইগার’ হিসেবেই তার খ্যাতি ছিল। জাতীয় দলে খেলার পাশাপাশি সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন কোচিং ও আম্পারিংয়েও। সেই প্রয়াত সোনা মিয়ার দেখানো পথ অনুসরণ করেই হকিতে জড়িয়েছেন তার দুই ছেলে রাসেল মাহমুদ জিমি ও খালেদ মাহমুদ রাকিন। এর মধ্যে জিমি তো হকির পোস্টার বয় আগে থেকেই। ছোট ছেলে রাকিনও উদীয়মানদের মধ্যে অন্যতম। জিমির সঙ্গে এবার রাকিনও জায়গা পেয়েছেন জাতীয় হকি দলের প্রাথমিক দলে। এখন প্রয়াত বাবার স্বপ্ন পূরণের অপেক্ষায় দুই সহোদর। জাতীয় দলে যাদের এক সঙ্গে খেলা হয়ে ওঠেনি। 

আগামী মার্চে ঢাকায় বসতে যাচ্ছে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ভারত-পাকিস্তানসহ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় দলগুলো এতে অংশ নিচ্ছে। সেই লক্ষ্যে স্বাগতিক বাংলাদেশের প্রস্তুতিও শুরু হবে আগামী ১০ জানুয়ারি। সেই ক্যাম্পে অভিজ্ঞ জিমির সঙ্গে থাকবেন ছোট ভাই রাকিন। হকিতে যাদের পথচলাটা মোটও এক নয়।   

২০০৩ সাল থেকে বয়সভিত্তিক দল সহ মূল দলে খেলে আসছেন জিমি। বছর আটেকের ছোট রাকিন অবশ্য চার বছর আগে বিশ্ব হকি লিগের প্রাথমিক দলে সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু বড় ভাই জিমির সঙ্গে এক সঙ্গে টার্ফে খেলা হয়নি। তবে এই দুজন ঘরোয়া হকিতে খেলেছেন একই দলে, মোহামেডানে। এছাড়া নৌবাহিনীতেও আছেন একই সঙ্গে।

এখন শুধু এক সঙ্গে লাল-সবুজ জার্সি গায়ে টার্ফে খেলার অপেক্ষা। জিমি যেমন বাংলা ট্রিবিউনের কাছে সেই স্বপ্নের কথা শোনালেন, ‘স্বপ্ন দেখি দুই ভাই মিলে লাল-সবুজ জার্সি গায়ে জড়িয়ে টার্ফে এক সঙ্গে খেলবো। এর আগে প্রাথমিক দলে সুযোগ হলেও এক সঙ্গে আর খেলা হয়ে উঠেনি। আমি অনেক আগে থেকে জাতীয় দলে খেলে আসছি। কিন্তু রাকিন চার বছর আগে জায়গা পেলেও মূল দলে ওর খেলা হয়নি।’

তাই এবার জিমি আশা করছেন তাদের স্বপ্ন পূরণ হবেই। বাবা বেঁচে থাকতে তো সেটি আর দেখে যেতে পারেননি। ‘এবার আমি আশা করছি ও মূল দলে জায়গা পাবে। নিজের সেরাটা দিয়ে খেলার সুযোগ করে নেবে। আর তাতেই দুই ভাই মিলে নিজেদের টার্ফে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে পারবো।  আর বাবা বেঁচে থাকলে তা দেখে নিশ্চয়ই খুশি হতেন। তিনি বেঁচে থাকতেই আমাদের জাতীয় দলে ঢোকাটা দেখে গেছেন। এখন ও যদি মূল দলে খেলতে পারে, তাহলে বাবা নিশ্চয়ই ওপার থেকে খুশি হবেন’- বলেছেন জিমি।

জিমি পুরোদস্তুর স্ট্রাইকার হলেও রাকিন রক্ষণে প্রতিপক্ষের আক্রমণ সামলাতে ব্যস্ত থাকেন। নিজের ছোট ভাই রাকিন সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রশংসাই ঝরলো জিমির কণ্ঠে, ‘রাকিন ঠাণ্ডা মাথার খেলোয়াড়। ডিফেন্সে বেশ ভালো। আমার ভাই বলে না, সত্যি বলছি। শুরুতে ফরোয়ার্ড পজিশনে খেলতো। পরে ক্যারিয়ার গড়েছে ডিফেন্ডার হিসেবে। আমার মনে হয় ও অনেক দূর যাবে।’

বড় ভাই জিমির মতো একই স্বপ্নে বিভোর রাকিনও। বলেছেন, ‘ছোট বেলা থেকেই স্বপ্ন দেখছি। বড় ভাইয়ের সঙ্গে জাতীয় দলে খেলবো। ভাইয়া অনেক দিন ধরে খেললেও আমি পারিনি। এবার সেই স্বপ্ন পূরণ হবে বলে আশা করছি। নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবো, যেন বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে পারি।’

এখন প্রয়াত বাবা আব্দুর রাজ্জাক সোনা মিয়ার স্বপ্ন পূরণের অপেক্ষা!

/এফআইআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ছুটির দিনে নিউ মার্কেটে জনসমুদ্র
ছুটির দিনে নিউ মার্কেটে জনসমুদ্র
ভারতের নিখিলের হ্যাটট্রিকে ঊষার বড় জয়
ভারতের নিখিলের হ্যাটট্রিকে ঊষার বড় জয়
বাংলাদেশে আইসিটির ভবিষ্যৎ কেন হুমকির মুখে?  
বাংলাদেশে আইসিটির ভবিষ্যৎ কেন হুমকির মুখে?  
মস্কোতে কনসার্টে হামলা: ৯ সন্দেহভাজনকে আটক করলো তাজিকিস্তান
মস্কোতে কনসার্টে হামলা: ৯ সন্দেহভাজনকে আটক করলো তাজিকিস্তান
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
বাড়লো ব্রয়লার মুরগির দাম, কারণ জানেন না কেউ
বাড়লো ব্রয়লার মুরগির দাম, কারণ জানেন না কেউ
‘ভারতের কঠোর অবস্থানের কারণেই পিটার হাস গা ঢাকা দিয়েছেন’
‘ভারতের কঠোর অবস্থানের কারণেই পিটার হাস গা ঢাকা দিয়েছেন’