X
মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫
২৫ চৈত্র ১৪৩১

ক্যারিয়ার গড়তে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে ফুটবলার আবিদ

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৬ মে ২০১৮, ১৩:২৯আপডেট : ০৬ মে ২০১৮, ১৩:৩৮

বাবা ও মায়ের সঙ্গে আবিদ। ছবি-ফেসবুক থেকে বাবা আবুল হোসেন ছিলেন তারকা ফুটবলার। জাতীয় দলের পাশাপাশি মোহামেডানের অধিনায়কত্ব করেছেন। খেলোয়াড়ী জীবন শেষে সাদা-কালো দলের হয়ে ডাগ আউটেও দাঁড়িয়েছেন। তারই উত্তরসূরী আবিদ হোসেন। বাবার মতো একই ক্লাবে খেলেছেন গতবার।  সেই আবিদের স্বপ্নটা আরও বড়।  জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করতে মুখিয়ে আছেন। তাই এবার পুরো প্রস্তুতি নিয়েই যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে বাংলাদেশে এসেছেন।  লক্ষ্য একটাই-ফুটবলে ক্যারিয়ার!

২০০৪ সালে সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান আবুল হোসেন। তখন আবিদ হোসেন মাত্র ক্লাস ওয়ানের ছাত্র। ফ্লোরিডায় গিয়ে ফুটবলের সঙ্গে আরো সখ্যতা বাড়ে আবিদের।  স্থানীয় স্কুল ও কলেজের একাডেমিতে নিজেকে শাণিত করেছেন। পাম বিচের হয়ে স্থানীয় তৃতীয় বিভাগেও খেলেছেন।

দীর্ঘদিনের বিরতির পর ২০১৭ সালে মাতৃভূমির টানে দেশে ফেরেন। গত মৌসুমে মোহামেডানের হয়ে এক ম্যাচ খেলেছিলেন। কিন্তু পরিবেশ ও লেখাপড়ার কারণে তেমন সুবিধা করতে পারেননি। এবার পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়ে ঢাকায় এসেছেন। আগামী মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে যে কোন ক্লাবের হয়ে খেলার ইচ্ছা। তাই আগে-ভাগেই ঢাকায় আসা। পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটাই তার এখন অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ।

বাবা ছিলেন ডিফেন্ডার। আর তার ছেলে বেছে নিয়েছেন ফরোয়ার্ড পজিশন। দুই উইংয়ে খেলতে অভ্যস্ত ২১ বছর বয়সী আবিদ জানালেন, ‘বাবা ডিফেন্ডার পজিশনে খেললেও আমার পছন্দ ফরোয়ার্ড পজিশন। সেখানে খেলতেই আমি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।’

যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে আসার কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে এই ফুটবলার তার স্বপ্নের কথা বললেন বাংলা ট্রিবিউনকে, ‘আমার বাবা জাতীয় দলে খেলেছেন। অধিনায়কও ছিলেন। বাবার কাছে ফুটবলের অনেক গল্প শুনেছি। তখন থেকেই স্বপ্ন ছিল বাবার মতো ফুটবলার হবো। তাই তো যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ফুটবলের সঙ্গেই ছিলাম। এখন বাংলাদেশে এসেছি ক্যারিয়ার গড়তে। আমার স্বপ্ন জাতীয় দলে জায়গা করে নেওয়া। এবার যে কোনও ক্লাবে খেলার ইচ্ছা। ক্লাবে খেলে নিজেকে প্রমাণ করার অপেক্ষা।’

যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশে বড় হয়ে বাংলাদেশের ফুটবলে জায়গা করে নেওয়াকে কঠিন হিসেবে দেখছেন আবিদ।  তিনি মনে করেন, ‘গত মৌসুমে মোহামেডানের হয়ে এক ম্যাচ খেলেছি। প্রচণ্ড গরম আর আবহাওয়ার কারণে অস্বস্তিতে ভুগেছি। পাশাপাশি লেখাপড়ার কারণে চলে যেতে হয়েছিল। এবার পর্যাপ্ত সময় নিয়ে ঢাকায় এসেছি।  ঢাকার আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য মৌসুম শুরুর আগেই চলে এসেছি। আশা করছি এবার পুরো মৌসুম খেলতে পারবো। নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে যা যা প্রয়োজন সেই চেষ্টা করবো।’

যুক্তরাষ্ট্রে ফুটবলের চর্চার পাশাপাশি বাস্কেটবলও খেলেছেন আবিদ। তবে সেটা শৌখিনতার খাতিরে। আবিদ বললেন, ‘সেখানে বাস্কেটবল–বেসবল নিয়েই মাতামাতি বেশি হয়। সকারটা পেছনের দিকে। আমি শৌখিন ভিত্তিতে বাস্কেটবল খেলে থাকি। ফুটবলটাই আমার ধ্যান-জ্ঞান। মাতৃভূমির টানেই বলতে পারেন দেশে ফিরে কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে।’

বাবা আবুল হোসেনের সায় নিয়েই বাংলাদেশে এসেছেন আবিদ। এটা যে সহজ হবে না তা বুঝতে পারছেন তিনি, ‘বাবাকে যখন বলি বাংলাদেশে যাবো, ফুটবলে ক্যারিয়ার গড়বো, জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন। তখন বাবা বললেন- ঠিক আছে যাও, আমার কোন সমস্যা নেই।  এখন বুঝতে পারছি ক্যারিয়ার গড়তে চাইলেই হবে না। আমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। আমি সবরকম চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে চাই। প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়ে টিকে থাকতে চাই। যেন নিজ দেশের হয়ে কিছু করতে পারি।’

/টিএ/এফআইআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মার্চে মূল্যস্ফীতি ৯.৩৫ শতাংশ
মার্চে মূল্যস্ফীতি ৯.৩৫ শতাংশ
স্ত্রী-সন্তানসহ নজিবুর রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
স্ত্রী-সন্তানসহ নজিবুর রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
ইউনূস-মোদির মধ্যে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে
ইউনূস-মোদির মধ্যে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রাখাইনে সহায়ক পরিবেশের ওপর জোর দিচ্ছে সরকার
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রাখাইনে সহায়ক পরিবেশের ওপর জোর দিচ্ছে সরকার
সর্বাধিক পঠিত
আমরা ইসরায়েলি কোম্পানি নই, গ্রাহকদের উদ্দেশে বাটা
আমরা ইসরায়েলি কোম্পানি নই, গ্রাহকদের উদ্দেশে বাটা
স্যামসাংয়ের বিনিয়োগ হাতছাড়া: জমি জটিলতায় দায়ী আগের সরকার, বললেন বিডা চেয়ারম্যান
স্যামসাংয়ের বিনিয়োগ হাতছাড়া: জমি জটিলতায় দায়ী আগের সরকার, বললেন বিডা চেয়ারম্যান
শাহ আমানত বিমানবন্দরে যাত্রীর লাগেজে কোটি টাকার স্বর্ণ
শাহ আমানত বিমানবন্দরে যাত্রীর লাগেজে কোটি টাকার স্বর্ণ
 ৯ দফার বাস্তবায়ন চায় সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ
 ৯ দফার বাস্তবায়ন চায় সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ
যমুনা ব্যাংকের এসএভিপি প্রশান্ত কুমারের ৯ অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ
যমুনা ব্যাংকের এসএভিপি প্রশান্ত কুমারের ৯ অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ