বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ অসুস্থ থাকায় তার বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।
বৃহস্পতিবার (৯ মে ) এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মওদুদ আহমদের অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তার পক্ষে আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তাওহীদ সময়ের আবেদন করেন। এরপর ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. শেখ গোলাম মাহবুব সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৩ মে দিন ধার্য করেন।
এ নিয়ে মামলাটিতে ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৩ জুলাই ব্যারিস্টার মওদুদকে তার নিজের, স্ত্রীর ও পোষ্যদের নামে-বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ এবং তার উৎস জানাতে নোটিশ দেয় দুদক। সেই সময় অন্য মামলায় তিনি কারাগারে ছিলেন। পরে একই বছরের ২৩ জুলাই দুদকে সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করেন মওদুদ। ওই হিসাব বিবরণী পর্যালোচনার পর দুদক অনুসন্ধান করে। অনুসন্ধানে দুদক জানতে পারে, মওদুদ আহমদ ৭ কোটি ৩৮ লাখ ৬৪ হাজার ২৮৭ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন করাসহ ৪ কোটি ৪০ লাখ ৩৭ হাজার ৩৭৫ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
পরে ওই ঘটনায় ২০০৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর দুদকের উপসহকারী পরিচালক শরিফুল হক সিদ্দিকী বাদী হয়ে রাজধানীর গুলশান থানায় মওদুদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
২০০৮ সালের ১৪ মে মওদুদের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। এরপর ২০১৮ সালে ২১ জুন অভিযোগ গঠন করেন আদালত।