কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু (১৯) হত্যার তিন বছর পেরিয়ে গেলেও তদন্তে কোনও দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দীর্ঘসূত্রিতায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে।
বুধবার (২০ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো আসকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নিহত তনুর মরদেহ ২০১৬ সালের ২০ মার্চ কুমিল্লার ময়নামতি সেনানিবাস থেকে উদ্ধার করা হয়। এরপর নিহতের বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহকারী ইয়ার হোসেন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। প্রাথমিক ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে তনুকে হত্যার কিংবা ধর্ষণের কোনও আলামত পাওয়া যায়নি বলা হলেও পরবর্তী সময়ে সিআইডির তত্ত্বাবধানে যে ময়নাতদন্ত করা হয়, তাতে তনুর পরিহিত পোশাক থেকে তিনজনের বীর্যের অস্তিত্ব পাওয়া যায় এবং সেগুলোর ডিএনএ প্রোফাইলও সংগৃহীত হয়। এরপরও এখন পর্যন্ত তদন্তে কোনও অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘দেশের অন্যতম সুরক্ষিত স্থান সেনানিবাস এলাকা থেকে লাশ উদ্ধারের তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এ হত্যা রহস্যের পেছনের সত্য উদঘাটিত হয়নি। এ ধরনের ঘটনায় রাষ্ট্রে বিচারহীনতার সংস্কৃতির ধারণা প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে। যত দিন যাচ্ছে ততই হত্যাকাণ্ডের বিচার পাওয়ার আশা ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হচ্ছে। দ্রুততার সঙ্গে তনু হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানাচ্ছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র।’