মিডিয়া লিটারেসিকে ক্লাসরুমের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) অডিটোরিয়ামে মিডিয়া লিটারেসি বা গণমাধ্যম সাক্ষরতা বিষয়ে অংশীজনদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘মিডিয়া লিটারেসিকে ক্লাসরুমের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। ক্লাস রুমে সংবাদ পড়িয়ে এর গুণাগুণ বিচার করার ধারণা শিক্ষার্থীদের দিতে হবে। মিডিয়া লিটারেসি ইজ অ্যাবাউট ট্রুথ লিটারেসি।’
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শিক্ষক জয়দীপ দে। তিনি বলেন, ‘আমাদের বহু বছরের পুরনো বিশ্বাস ও আবেগকে কাজে লাগিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে উগ্রবাদ ছড়ানো হচ্ছে। তাই সংবাদ পড়ার সময় আমাদের বেশি আবেগপ্রবণ না হয়ে যুক্তি দিয়ে ভাবতে হবে।’
আলোচনায় অংশ নেন সাংবাদিক শ্যমল দে। তিনি বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়াকে কেন সোশ্যাল বলা হয় আমি বুঝতে পারি না। এটাই আমাদের সবচেয়ে অসামাজিক করে তুলছে। মিডিয়া লিটারেসি এখন আর নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর জন্য নয়; এর প্রয়োজন ও ব্যাপকতা অনেক বেশি। মিডিয়া ল্যান্ডস্ক্যাপ এখন এত বড় যে, ডিজিটাল মিডিয়া এবং মাসমিডিয়া (গণমাধ্যমকে) আলাদাভাবে দেখার সুযোগ নেই।’
গাজী টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, ‘মূলধারার গণমাধ্যম আর মানুষের ভাষা বুঝতে পারছে না। মানুষ নতুন ভাষা চায়, আর এভাবেই সোশ্যাল মিডিয়ার আগমন। সিটিজেন জার্নালিজমের ধারণা খুবই আকর্ষণীয় মনে হচ্ছে। কিন্তু এটা মিডিয়া কিলার। গণমাধ্যমকে আরও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর মধ্যদিয়ে সংবাদ পরিবেশন করতে হবে।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন– প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক শাহ আলমগীর, প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক সোহরাব হোসেনসহ প্রমুখ।