প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমি যখন জনগণের জন্য কাজ করি, তখন আমি ক্লান্ত হই না। যদি জনগণ ভালো থাকে তবে সেটা আমার বড় অর্জন।’
শনিবার (২ নভেম্বর) গণভবনে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংক’স (বিএবি) কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ ভাণ্ডারে কম্বল গ্রহণ অনুষ্ঠানে একথা বলেন। বিএবি’র আওতাধীন ৩৬টি ব্যাংক প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ এবং কল্যাণ তহবিলে ২৭ লাখ পিস কম্বল অনুদান হিসেবে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের মধ্যে ব্যাংক ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিয়েছি এবং তারা বিভিন্ন কাজের জন্য ব্যাংক ব্যবহার করছে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন,‘আমি বলবো যে, এটি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। আপনারা যেহেতু অনেক বেশি কাজ করেন, তাই জনগণের আপনাদের কাছে প্রত্যাশা বেশি। যদি আপনি সৎভাবে ব্যাংকগুলো পরিচালনা করেন,তবে কোনও সমস্যা হবে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার বেসরকারি ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়ার সময় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শাখা খোলা বাধ্যতামূলক করেন। সেইসঙ্গে করপোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি (সিএসআর) বাস্তবায়ন করতে বলেন।
তিনি বলেন, কিছু মহল রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর অলাভজনক শাখা বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছিল। বিশ্বব্যাংক এই জাতীয় প্রেসক্রিপশন দিয়েছিল। কিন্তু আমরা যখন ক্ষমতায় এসেছি তখন আমরা প্রেসক্রিপশনটি গ্রহণ করিনি। কারণ সব অঞ্চলে অর্থনৈতিক কার্যক্রম সমান নয়।
বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে সিএসআর কর্মসূচির আওতায় সহযোগিতার হাত প্রসারিত করায় প্রধানমন্ত্রী তাদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘সরকার বিপন্ন মানবতার জন্য সহযোগিতা দিচ্ছে। কিন্তু আপনারা এগিয়ে এলে তারা আরও বেশি লাভবান হবে।’
গত প্রায় এক দশকে বাংলাদেশের চমকপ্রদ উন্নয়নের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বিএবি’র সদস্য ৩৬টি বেসরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন। খবর বাসস।