কোনও বিশেষ ব্যক্তি বা গোষ্ঠী নয়, অপরাধীর বিরুদ্ধে দুর্নীতিবিরোধী এই অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘যারাই দুর্নীতি, অনিয়ম ও ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধেই অভিযান চলবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সচিবালয়ের নিজ সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অপরাধ ও দুর্নীতির দায়ে যাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে তারা চুনোপুঁটি হলেও অপরাধ রাঘববোয়ালদের মতো বড়। শুধু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নয়, অন্যান্য সেক্টরেও যেখানেই অনিয়মের অভিযোগ আসছে সেগুলো তদন্ত করা হবে। ’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছেন, চলমান অভিযান নিয়ে তিনি কোনও দিক নির্দেশনা দিয়েছেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) আসলে কী করবেন তা নিউইয়র্কের সংবাদ সম্মেলনেই ইঙ্গিত দিয়েছেন। অভিযান জোরদার হবে তা স্পষ্ট করেছেন। তিনি খোঁজখরব নিচ্ছেন। কার কার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন তা অচিরেই পরিষ্কার হবে।’
অভিযানে কাউকে ছাড়া দেওয়া হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘কাউকে ছাড় দেওয়া নয়, তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। ব্যক্তি যেই হোক, অপরাধী হলে তাকে শাস্তি পেতেই হবে।’
অভিযানে এ পর্যন্ত কতজন গ্রেফতার হয়েছে তার তালিকা তৈরি হয়েছে কিনা এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন,‘কত জন গ্রেফতার হয়েছে তার তালিকা আমার কাছে নেই। অনেকেই নজরদারিতে আছেন। সুন্দরবন-বান্দরবান, টেকনাফ-তেঁতুলিয়া যেখানেই অপরাধী থাকুক সর্বত্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অতীতে যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন সেই সমস্ত লোকদের মধ্যে যারা অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন তাও খতিয়ে দেখা হবে। আওয়ামী লীগ ঘর থেকে এই অভিযান শুরু করলো।’
সম্রাটকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না, তাকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে কিনা এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অভিযোগ ও তথ্য প্রমাণ পরিষ্কার না হলে অ্যাকশন নেওয়া যায় না। ওয়েট অ্যান্ড সি, দেখতে পাবেন।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘পরিবহন সেক্টরেও চাঁদাবাজি হয়। এসব চাঁদাবাজির ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি জেনারেলাইজড করা হয়েছে। অপরাধ করলে শাস্তি পেতেই হবে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির আমলে এত দুর্নীতি, অনিয়ম হয়েছে কিন্তু কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনি। শেখ হাসিনা সরকার তা পেরেছেন। বিএনপি ছাড়া দেশের সব মানুষ এই অভিযানে খুশি। এই অভিযানে তাদের আন্দোলন মার খাবে।’
বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার ব্যাপারে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা অজুহাত পেলেই জিনিসপত্রের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়িয়ে দেয়। পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। তবে সীমা ছাড়িয়েছে কিনা তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানে।’