X
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
৯ বৈশাখ ১৪৩২

ডাকসু ইলেকশন ইজ মাস্ট: রাষ্ট্রপতি

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৪ মার্চ ২০১৭, ১৭:৩৩আপডেট : ০৪ মার্চ ২০১৭, ১৭:৩৮

ঢাবির সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক ছিল বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বক্তৃতা। লিখিত বক্তব্যের বাইরে স্বভাবসুলভ স্বতঃস্ফূর্ত বক্তৃতা দিয়েছেন তিনি। নিজের ছাত্রজীবনের নানা অভিজ্ঞতা বর্ণনা করার পাশাপাশি বর্তমান সময়ের ছাত্র রাজনীতির ধরন নিয়ে আলোচনা করেছেন রাষ্ট্রপতি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বা ডাকসু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘ডাকসু ইলেকশন ইজ মাস্ট, তা না হলে ভবিষ্যৎ নেতৃত্বশূন্য হয়ে যাবে।’

শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের খেলার মাঠে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মোট ১৭ হাজার ৮৭৫ জন স্নাতক অংশ নিয়েছেন। এদের মধ্যে ৮০ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে ৯৪টি স্বর্ণপদক এবং ৬১ জনকে পিএইচডি ও ৪৩ জনকে এমফিল সনদ দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে দুই যুগেরও বেশি সময় ডাকসু নির্বাচন না হওয়া নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রপতি। ছাত্র রাজনীতির অতীত ও বর্তমান নিয়ে তুলনামূলক আলোচনা করে তিনি বলেন, ‘আমাদের সময়ের আর আজকের ছাত্র রাজনীতির মধ্যে অনেক তফাত। ষাটের দশকে আমরা যারা ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম, তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল দেশ-জাতির কল্যাণ সাধন।’

ছাত্র রাজনীতির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘দেশ ও জাতির উন্নয়নে রাজনৈতিক নেতৃত্বের বিকল্প নেই। গণতন্ত্র ও উন্নয়ন একে অপরের পরিপূরক। একটি ছাড়া অপরটি অচল। তাই গণতন্ত্রের ভিতকে মজবুত করতে হলে দেশে সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তুলতে হবে। আর সেই নেতৃত্ব তৈরি হবে ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমেই।’

নিজেদের সময়ের ছাত্র রাজনীতির ধরন নিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘তখন ছাত্ররাই ছাত্র রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতো, নেতৃত্ব দিতো। লেজুড়বৃত্তি বা পরনির্ভরতার কোনও জায়গা ছিল না। সাধারণ মানুষ ছাত্রদের সম্মানের চোখে দেখতো।’

তরুণ প্রজন্মের কাছে সন্ত্রাসবাদ ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে আমরা বিজয়ী হলেও পঁচাত্তরের হত্যাযজ্ঞের ফলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ও বিপক্ষের শক্তির লড়াই, প্রগতি ও প্রতিক্রিয়া, শুভ ও অশুভ এবং ধর্মপরায়ণতা ও ধর্মান্ধতার লড়াই আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে শেষ হয়ে যায়নি। এ লড়াইয়ে জিততে না পারলে অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অগ্রগতির চাকা মুখ থুবড়ে পড়বে। আজকের লড়াইয়ে শুভশক্তি জয়ী না হলে রাষ্ট্র হিসেবে, জাতি হিসেবে আমরা আবার পিছিয়ে পড়বো।’

আরএম/ইউআই/এএআর/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সৌর প্যানেলে চার এশীয় দেশের ওপর সর্বোচ্চ ৩৫২১ শতাংশ শুল্কারোপ যুক্তরাষ্ট্রের
সৌর প্যানেলে চার এশীয় দেশের ওপর সর্বোচ্চ ৩৫২১ শতাংশ শুল্কারোপ যুক্তরাষ্ট্রের
চলতি বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩.৮ শতাংশ: আইএমএফ
চলতি বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩.৮ শতাংশ: আইএমএফ
বাসায় এসে জানায় পরীক্ষা খারাপ হয়েছে, কিছুক্ষণ পর মিললো মরদেহ
বাসায় এসে জানায় পরীক্ষা খারাপ হয়েছে, কিছুক্ষণ পর মিললো মরদেহ
ঢাবির সুইমিংপুল পুনরায় চালুর দাবি বাগছাসের
ঢাবির সুইমিংপুল পুনরায় চালুর দাবি বাগছাসের
সর্বাধিক পঠিত
ফার্মের মুরগিতে ‘ই আল্বার্টি’ ব্যাকটেরিয়া: আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ
ফার্মের মুরগিতে ‘ই আল্বার্টি’ ব্যাকটেরিয়া: আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ
মহানবীকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে মহাখালী-সাতরাস্তা সড়ক অবরোধ
মহানবীকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে মহাখালী-সাতরাস্তা সড়ক অবরোধ
বাংলাদেশ থেকে ৭২৫ জন সৈন্য নেবে কাতার: প্রেস সচিব 
বাংলাদেশ থেকে ৭২৫ জন সৈন্য নেবে কাতার: প্রেস সচিব 
ভবদহ সমস্যা সমাধানে তিন নদী খনন করবে সেনাবাহিনী: রিজওয়ানা হাসান
ভবদহ সমস্যা সমাধানে তিন নদী খনন করবে সেনাবাহিনী: রিজওয়ানা হাসান
‘৩ মাসের জন্য এসেছিলাম, হয়ে গেছে ২৫ বছর’
‘৩ মাসের জন্য এসেছিলাম, হয়ে গেছে ২৫ বছর’