ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) এক ছাত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ পাঁচ জনের আবাসিকতা বাতিল করা হয়েছে। হল প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমার পর এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। ওই পাঁচ শিক্ষার্থীকে আগামী ১ মার্চ দুপুর ১২টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের হল সংযুক্তি বাতিলের সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত হয়।
হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ভুক্তভোগী ছাত্রীর আবেদনে উল্লেখিত র্যাগিংয়ের নামে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। প্রাপ্ত সত্যতার ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’
সিদ্ধান্তের বিষয়ে ভুক্তভোগী মন্তব্য জানতে চাইলে বলেন, ‘তাদের যেটা প্রাপ্য, সেটা তারা পাওয়া শুরু করেছে। আরও প্রাপ্য থেকে থাকলে সেটাও পাবে। তারা এই যোগ্যতাই অর্জন করেছে। তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী প্রাপ্য পাবে।’
ওই পাঁচ জন হলেন- শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও মাওয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মিম ও চারুকলা বিভাগের হালিমা খাতুন ঊর্মি।
প্রসঙ্গত, গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলের গণরুমে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর। তার ভাষ্য, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী ও তার অনুসারীরা তাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করেন। এ ঘটনা কাউকে জানালে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। পরে ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, হলের প্রাধ্যক্ষ ও ছাত্র উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন।
এ ঘটনায় রিট হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের করা কমিটি ও হল কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। দুই প্রতিবেদনেই নির্যাতনের সত্যতা মিলেছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের করা তদন্ত কমিটিও কেন্দ্রে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে।