X
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
৬ বৈশাখ ১৪৩২

জাতিসংঘে বিশ্বায়নের সমালোচনায় সরব ট্রাম্প

বিদেশ ডেস্ক
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১০:২৮আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১০:৩৪

বিশ্বায়নের সমালোচনায় সরব হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর বিপরীতে জাতীয়তাবাদী মতাদর্শকে সামনে নিয়ে আসার কথা বলেছেন তিনি। বিশ্বনেতাদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের নেতাদের নিজ নিজ দেশের স্বার্থকে উপেক্ষা করার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই বিশ্বায়ন। মঙ্গলবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে নিজের এমন অবস্থান তুলে ধরেন ট্রাম্প। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান। জাতিসংঘে বিশ্বায়নের সমালোচনায় সরব ট্রাম্প
ভাষণে অভিবাসনের তীব্র সমালোচনা করে বৈশ্বিক ব্যাধির সমাধান বা আরোগ্য হিসেবে দেশাত্মবোধকে জাগ্রত করার তাগিদ দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে তার ওই ভাষণকে ‘জাতীয়তাবাদী মেনিফেস্টো’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে দ্য গার্ডিয়ান।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, মুক্ত বিশ্বকে অবশ্যই এর জাতীয় বুনিয়াদকে ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। অবশ্যই মূল জাতীয়তাবাদী চেতনা মুছে ফেলা বা এটি প্রতিস্থাপনের চেষ্টা করা উচিত নয়। একটি জাতির সত্যিকারের মঙ্গল কেবল তারাই করতে পারে যারা ওই দেশকে ভালোবাসে। ঐতিহাসিকভাবে যেসব নাগরিকদের শিকড় ওই ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত, যারা স্থানীয় সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ, স্থানীয়দের সঙ্গে যাদের যোগসূত্র রয়েছে তারাই ওই দেশকে ভালোবাসে।

উগ্র ডানপন্থী জাতীয়তাবাদের প্রতিধ্বনি করে ট্রাম্প বলেন, নতুন করে আসা অভিবাসীদের চেয়ে একটি ভূখণ্ডে প্রজন্ম পর প্রজন্ম ধরে বসবাস করা স্থানীয় লোকজনই সেই ভূখণ্ডকে অনেক বেশি ধারণ করে। যারা দেশে অভিবাসীদের প্রতিস্থাপন করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে এই স্থানীয় সুরক্ষাকবচ তৈরি করা উচিত।

৩৬ মিনিটের ভাষণে বারবার দেশপ্রেমের কথা উল্লেখ করেন যার নির্যাস ছিল, অভিবাসীর নয়, কেবল স্থানীয় জনগোষ্ঠী জাতীয় স্বার্থের সুরক্ষা দিতে পারে।

এদিনের ভাষণে ইরানের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগড়ে দেন ট্রাম্প। তেহরানকে সন্ত্রাসবাদের সমর্থক অভিহিত করে তিনি বলেন, দুনিয়ার শান্তিকামী দেশগুলোর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ইরান। দেশটির পরমাণু অস্ত্র তৈরির লক্ষ্যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে ওয়াশিংটন কখনো তেহরানকে এ ধরনের অস্ত্র তৈরি করতে দেবে না। হোয়াইট হাউস দেশটির ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের নীতি অব্যাহত রাখবে।

/এমপি/
সম্পর্কিত
রোমে দ্বিতীয় দফার বৈঠকে বসছে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র
চীনের অর্থনীতি আবারও চমকে দিলো বিশ্বকে
ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলায় নিহত ৭৪: হুথিদের দাবি
সর্বশেষ খবর
শিল্পীদের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি ১০ প্রস্তাবনা
শিল্পীদের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি ১০ প্রস্তাবনা
রোমে দ্বিতীয় দফার বৈঠকে বসছে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র
রোমে দ্বিতীয় দফার বৈঠকে বসছে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র
রিয়ালে কোচ হয়ে ফিরছেন ক্লপ?
রিয়ালে কোচ হয়ে ফিরছেন ক্লপ?
এক সংবাদ একই শিরোনামে ১৩ পত্রিকায়, সম্পাদকদের কারণ দর্শানোর নোটিশ
এক সংবাদ একই শিরোনামে ১৩ পত্রিকায়, সম্পাদকদের কারণ দর্শানোর নোটিশ
সর্বাধিক পঠিত
সন্তান বিক্রি করে জুয়েলারি ও মোবাইল কিনেছেন মা
সন্তান বিক্রি করে জুয়েলারি ও মোবাইল কিনেছেন মা
‘বাবা বাইরে মা ঘুমিয়ে’, দুই শিশুসন্তানকে কুপিয়ে হত্যা করলো দুর্বৃত্তরা
‘বাবা বাইরে মা ঘুমিয়ে’, দুই শিশুসন্তানকে কুপিয়ে হত্যা করলো দুর্বৃত্তরা
রাজধানীতে আবার আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
রাজধানীতে আবার আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
মৃত্যুর আগে ফেসবুকে লিখলেন ‘ওরা মানুষকে মানুষ মনে করে না’
মৃত্যুর আগে ফেসবুকে লিখলেন ‘ওরা মানুষকে মানুষ মনে করে না’
এক সংবাদ একই শিরোনামে ১৩ পত্রিকায়, সম্পাদকদের কারণ দর্শানোর নোটিশ
এক সংবাদ একই শিরোনামে ১৩ পত্রিকায়, সম্পাদকদের কারণ দর্শানোর নোটিশ