বরগুনার ক্রোক এলাকার নবম শ্রেণির ছাত্র বায়েজিদ হোসেন ইমরানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তার পরিবার। শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় বরগুনা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এ সময় ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনারও দাবি জানায় পরিবার।
উল্লেখ্য, গত ২৭ অক্টোবর ভোরে বরগুনার ক্রোক এলাকার একটি মসজিদের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলন্ত ইমরানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই দিনই বরগুনা সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিহত ইমরানের বাবা খলিলুর রহমান বলেন, ‘ইমরানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহ ঘটনাস্থলে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ঘটনার ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশের কোনও তৎপরতা নেই। দৃশ্যমান কোনও তদন্ত কার্যক্রমও দেখা যাচ্ছে না।’
খলিলুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার পরে জানতে পারি, আমার ছেলের সঙ্গে আসলাম নামের এক স্কুল শিক্ষকের সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে আসলাম ও তার স্ত্রী আমার ছেলেকে বাসায় ডেকে নিয়ে একাধিকবার মারধর করেছে। পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে মারার হুমকি দিয়েছে। আমরা এসব তথ্য পুলিশকে জানিয়েছি। কিন্তু ঘটনার ৫ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ এখনও কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।’ ইমরানের মা-বাবা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ইমরানের মা সুখি বেগমসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।