রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশ থেকে আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে জাতীয় মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন, পাবলিক প্রাইভেটের (পিপিপি) সিদ্ধান্ত বাতিল, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারীদের পি.এফ. গ্রাচ্যুইটির টাকাসহ ১১ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়েছে। তা না হলে কঠোর কর্মসূচির আল্টিমেটাম ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় বিক্ষুদ্ধ শ্রমিক নেতারা বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি জানান।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকাল ৫টায় পিপলস গোল চত্বরে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সারাদেশের পাটকলের সিবিএ-নন সিবিএ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক সরদার আ. হামিদ বলেন, ‘দীর্ঘদিন মজুরি কমিশনের দাবি পূরন না হওয়ায় শ্রমকিদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। এরপর মিলে কাজ করেও সপ্তাহের মজুরি দিতে বিলম্বে করছে। প্রত্যোক মিলে শ্রমিকদের ৭/৮ সপ্তাহর মজুরি বকেয়া আছে। ফলে শ্রমিকরা চরম ক্ষিপ্ত। শ্রমিক স্বার্থ ব্যাঘাত সেখানে প্রতিবাদসহ আন্দোলন করা হবে।’
প্লাটিনাম জুট মিলের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান বলেন, ‘খুলনা ও যশোরের রাষ্ট্রায়ত্ত ৯ পাটকলে পাট কেনার জন্য এবং শ্রমিকদের ৭/৮ সপ্তাহের মজুরি ও কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রায় ৩ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। ৯ পাটকলে শ্রমিকদের মজুরি বকেয়া ৩৩ কোটি টাকা, কর্মকর্তাদের বেতন বকেয়া কোটি টাকা, পিএফ বাবদ বাকি ৮৭ কোটি টাকা, গ্রাচ্যুইটি বাবদ ২৩০ কোটি টাকা। এছাড়া পাটের দেনা ১৮৬ কোটি টাকা। অন্যান্য খাতে প্রায় ৭২ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে।’
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক সরদার আ. হামিদের সভাপতিত্বে ও খালিশপুর জুট মিলের সিবিএর সভাপতি আবু দাউদ দ্বীন মোহাম্মেদর পরিচালনায় বক্তৃতা রাখেন সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব শাহানা সারমিন, করিম জুট মিলের সাবেক সভাপতি মো. আবুল হোসেন, আমিন জুট মিলের সভাপতি মো. আরিফুর রহমান, রাজশাহী জুট মিলের সভাপতি মো. জিল্লুর রহমানসহ অনেকে।
আলিম জুট মিলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম লিটু বলেন, আজ দেশে রোহিঙ্গারা খেতে পারছে, অথচ পাটকল শ্রমিকরা না খেয়ে পরিবার নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে। শ্রমকি সন্তানদের স্কুল কলেজে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
প্লাটিনাম জুট মিলের সিবিএ নেতা বেল্লাল হোসেন বলেন, সরকারি কর্মচারীদের পে-কমিশন বাস্তবায়ন হয়েছে। কিন্তু শ্রমিকদের মজুরি কমিশন ৬ বছরের বাস্তবায়ন করা হয়নি। এ নিয়ে আন্দোলন করতে গেলে শ্রমিক নেতাদের নামে মামলা দিয়ে আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।