বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে আন্তঃরাষ্ট্রীয় চুক্তি অনুযায়ী সৌদি আরবের দুই এলাকায় বাংলাদেশের সেনাসদস্য মোতায়েনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। এই চুক্তি অনুযায়ী মাইন অপসারণে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ থেকে সেখানে সেনা মোতায়েন করা হতে পারে।’
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাদিরাবাদ সেনানিবাসে ১ ও ৮ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন এবং ৫ ও ৭ আরই ব্যাটালিয়রে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সেনাপ্রধান আরও জানান, ‘বাংলাদেশ থেকে ১৭শ’ জনবলের দুটি ডি মাইনিং ব্যাটালিয়ন এবং বিএমসি সদর দফতরের সঙ্গে ১৮ জন জনবল সৌদি আরবের জাযান ও নাজরান এলাকায় নিয়োজিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরইমধ্যে বাংলাদেশ থেকে সমঝোতা চুক্তির (এমওইউ) কাগজপত্র সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। এমওইউ অনুমোদন হওয়ার পর চূড়ান্তভাবে কার্যক্রম শুরু হবে।’
চারটি ইউনিটকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান
মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ এবং সেনাবাহিনী তথা দেশমাতৃকার সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্স এর চারটি ইউনিটকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। মঙ্গলবার সকালে নাটোর কাদিরাবাদ সেনানিবাস চত্বরে কোর অব ইঞ্জিনিয়ারসের ১ ও ৮ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন এবং ৫ ও ৭ রিভারাইন ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন কালার প্যারেডে অংশ নেয়। এরপর ওই চারটি ইউনিট প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত সেনাপ্রধানের হাত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রেজিমেন্টাল পতাকা গ্রহণ করেন যা সেনাবাহিনীর সামরিক ঐতিহ্য অনুযায়ী অত্যন্ত গৌরবের বিষয়।
অনুষ্ঠানে প্যারেড কমান্ডার হিসেবে লে. কর্নেল তাহসিন বিন আলম এবং ক্যাপ্টেন তৌহিদুল হক হিমেল প্যারেড অ্যাডজুটেন্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ১ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়নে ক্যাপ্টেন জুনায়েত হুসাইন মল্লিক,৫ আরই ব্যাটালিয়নে ক্যাপ্টেন মোস্তাফিজুর রহমান,৭ আরই ব্যাটালিয়নে ক্যাপ্টেন জিয়াউল ইসলাম এবং ৮ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়নে ক্যাপ্টেন সোহেল আরমান সেনাবাহিনী প্রধানের কাছ থেকে পতাকা গ্রহণ করেন।
এসময় বক্তব্যে সেনাপ্রধান দেশে এবং আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের প্রসংশা করেন। রেজিমেন্টাল পতাকা অর্জনের জন্য তিনি ওই চার ইউনিট সদস্যদের অভিনন্দন জানান। তিনি আরও উল্লেখ করেন, কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্স একটি কারিগরি, সরঞ্জামনির্ভর এবং বহুমুখী প্রতিভা সম্পন্ন কোর, যার সহায়তা যুদ্ধক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যৎ যুদ্ধক্ষেত্রের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ,অত্যাধুনিক,বাস্তবমুখী এবং উদ্ভাবনী চিন্তা-চেতনা সম্পন্ন প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন সেনাপ্রধান।