গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ১২ বছরের এক কিশারীকে অপহরণের মামলায় আরিফুর ইসলাম (২৫) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
ঘটনার চার বছর পর রবিবার (৫ মে) দুপুরে গাইবান্ধার নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক আব্দুর রহমান শুনানি শেষে এ রায় দেন। এছাড়া মামলার অপর তিন আসামিকে মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আরিফুর বর্তমানে পলাতক।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আরিফুর ইসলাম গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বরাট্রা গ্রামের আবু সামাদের ছেলে। অব্যহতি পাওয়া তিন আসামি হলেন, সুলতান, আবু তালেব ও জহরুল ইসলাম।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মহিবুল হক সরকার মোহন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২০১৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর ১২ বছরের কিশোরীকে স্কুল থেকে ফেরার পথে অপহরণ করে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আরিফুরসহ তার সহযোগিরা। আসামিরা কিশোরীকে একটি কারে করে অজ্ঞাত জায়গায় নিয়ে আটক রাখে। এঘটনায় কিশোরীর বাবা মোখলেছার রহমান সরকার বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে ৫ সেপ্টেম্বর গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এরআগে, আদালত চার্জশিট গ্রহণ করে মামলার স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এছাড়া ভিকটিমের জবানবন্দি নেওয়াসহ সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রবিবার রায়ের দিন ধার্য্য করেন আদালত।
তিনি আরও জানান, বিচারক শুনানি শেষে আসামি আরিফুরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। একই সঙ্গে ১ লাখ টাকা জরিমনা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। এছাড়া মামলার অন্য তিন আসামিকে অব্যহতি দেওয়া হয়। রায়ের সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা পলাতক ছিলেন।
এদিকে, ঘটনার চার বছর পর মামলার রায়ে আসামি আরিফুরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগি পরিবার। তবে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ঘটনার পর থেকেই পলাতক। তাকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। এছাড়াও অন্য তিন আসামিকে অব্যহতি দেওয়ায় ভুক্তভোগী পরিবারের মধ্যে অসন্তোস বিরাজ করছে।