প্রযুক্তি আবিষ্কারের পর তা যদি মাঠ ও চাষি পর্যায়ে না যায়, তাহলে উদ্ভাবনে কোনও লাভ নেই বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘এ দায়িত্বটি কৃষি বিজ্ঞানীদেরকেই নিতে হবে। উদ্ভাবিত প্রযুক্তির কতটি চাষি পর্যায়ে পৌঁছেছে, তা দেখা উচিত। সেজন্য কৃষি বিজ্ঞানীদের সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’
রবিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুরে দুই দিনব্যাপী এক প্রযুক্তি প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গনে প্রদর্শনীটির আয়োজন করা হয়। সোমবার প্রদর্শনীটি শেষ হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে ৪০ লাখ মেট্রিক টন ভুট্টা উৎপাদন হয়, আর আমদানি করতে হয় ৩৫ লাখ মেট্রিক টন। পোল্ট্রি শিল্পের বিকাশ ঘটেছে, ফলে আমদানি করতে হচ্ছে। আমরা আগামী তিন বছর পর এক টন ভুট্টাও আমদানি করবো না।’
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আগে কৃষি বিষয়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষক ও গবেষক হতে চাইতেন। বর্তমানে তারা চান ব্যাংক ও অন্যান্য পেশায় যেতে। এটি অনুধাবন করতে হবে। এ ধারণা পাল্টাতে হবে।’ কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশ সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয়। ২০০৬ সালে বাংলাদেশে ৪০ লাখ মেট্রিক টন সবজি উৎপাদন করতো। বর্তমানে উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৬০ লাখ মেট্রিক টনে। দেশে আগে ৫ লাখ মেট্রিক টন ভুট্টা উৎপাদন হতো, বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ৩৮ লাখ মেট্রিক টনে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ডক্টর আবুল কালাম আজাদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডক্টর মদন গোপাল সাহা, ড. মো. আব্দুল ওয়াহাব ও ড. মোহাম্মদ লুৎফর রহমান প্রমুখ।