টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র বাইরে নেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে কেন্দ্র সচিব ও কোচিং শিক্ষককে এক মাস করে এবং কালিহাতীর এলেঙ্গাতে এক শিক্ষককে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) পরীক্ষা চলার সময় এ সাজা দেওয়া হয়।
জানা যায়, শনিবার সকালে পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ পরই ঘাটাইল উপজেলার সাগরদীঘি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে থেকে গণিত পরীক্ষার নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নপত্রসহ সাগরদীঘি শ্যামল কোচিং সেন্টারের পরিচালক শ্যামল চন্দ সাহা ও সাগরদীঘি উচ্চ বিদ্যালয়ের ঝাড়ুদার আবদুর রহমানকে আটক করে পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্যে ওই কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব একই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন খালিদ ভূঁইয়ার জড়িত থাকার বিষয়টি নজরে আসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার।
ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলরুবা আহম্মেদ বলেন, ‘পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর সাগরদীঘি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে থেকে শ্যামল চন্দ সাহা ও আবদুর রহমানকে গণিত পরীক্ষার নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নপত্রসহ আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ওই কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব হুমায়ুন খালিদ ও কোচিং শিক্ষক শ্যামল চন্দ সাহাকে এক মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’ ঝাড়ুদার আবদুর রহমানকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
অপরদিকে, একইদিনে কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দায়িত্বে অবহেলার কারণে তিন শিক্ষককে বহিষ্কার ও এক শিক্ষককে সাত দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার রেজা মো. গোলাম মাসুদ প্রধানের নেতৃত্বে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার রেজা মো. গোলাম মাসুদ প্রধান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বহিষ্কৃতরা হলেন– উপজেলার এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভেন্যুর সুপার দেউপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভবান চন্দ সূত্রধর, নারান্দিয়া টিআরকেএন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহিনা পারভীন ও এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের মিঠুন হাসান অভি। এছাড়াও এলেঙ্গা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক লুৎফর রহমানকে পরিচয় গোপন রাখার অপরাধে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।