সিরাজগঞ্জের আলোচিত চৌহালী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর ফিরোজকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা ঘুষ ও দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দীক মোহাম্মদ ইউসুফ রেজা বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম-আল-হোসেন সাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে চৌহালী উপজেলা প্রাথমিক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর ফিরোজকে তার পেশাগত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। মঙ্গলবার বিকালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত আদেশের কপির মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি।’
জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর চৌহালী উপজেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী আবদুল মালেককে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় দুদক হাতেনাতে আটক করে। এই ঘটনায় ওইদিন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় পাবনার সহকারী পরিচালক শেখ গোলাম মওলা বাদী হয়ে চৌহালী থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন।
দীর্ঘ তদন্তের পর ঘুষ-দুর্নীতির সঙ্গে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর ফিরোজের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়। পরে দুদক উপজেলা শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী আবদুল মালেক ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর ফিরোজকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট বা অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরবর্তীতে গত বছরের ২৪ অক্টোবর বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত সিরাজগঞ্জ বি.এস.আর. পার্ট-১ এর ৭৩ নং বিধির নোট (২) অনুযায়ী অভিযোগপত্র (চার্জশিট) গ্রহণ করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম-আল-হোসেন সাক্ষরিত চৌহালী উপজেলা প্রাথমিক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর ফিরোজকে চাকরি থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর ফিরোজের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে চৌহালী উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহজাহান মিঞার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যাতা নিশ্চিত করেন।