X
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
৫ বৈশাখ ১৪৩২

কাশ্মিরি আপেল কুল চাষে সফল সোহাগ

মেহেদী হাসান, চুয়াডাঙ্গা
২৬ জানুয়ারি ২০১৯, ১৩:৩৯আপডেট : ২৬ জানুয়ারি ২০১৯, ১৩:৫১

কাশ্মিরি কুল ফরহাদ হোসেন সোহাগ লেখাপড়া শেষ করে চাকরির আশায় বসে না থেকে শুরু করেন কৃষি কাজ। জমি লিজ নিয়ে শুরু করেন ফলসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির আবাদ। কিন্ত ভাগ্য যেন কোনোভাবেই সহায় হচ্ছিলো না সোহাগের। বারবার লোকসান হলেও কৃষির প্রতি টান তাকে দমাতে পারেনি। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে সোহাগ সাড়ে ৬ বিঘা জমিতে গড়ে তুলেছেন কাশ্মিরি আপেল কুলের বাগান। পুরো বাগান জুড়েই লাল-সবুজের সমারহ। লাভের আশায় সোহাগের মুখে দেখা দিয়েছে হাসিক ঝিলিক।

কাশ্মিরি আপেল কুল চাষে সফল সোহাগ সোহাগের বাড়ি উপজেলার লোকনাথপুর। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ৬ মাস আগে ভারত থেকে চারা আনেন। আনা-নেওয়াসহ প্রতিটি চারার খরচ পড়ে ৮৫-৯০ টাকা। সাড়ে ৬ বিঘা জমিতে সাড়ে ৭০০ চারা লাগানো হয়। এখন পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকার মতো। প্রতিটি গাছেই প্রচুর পরিমাণে কুল ধরেছে। এ বছর গাছ প্রতি ৩০-৪০ কেজি করে কুল হতে পারে। দ্বিতীয় বছর থেকে কুলের পরিমাণ দ্বিগুণ হতে পারে বলে ধারণা করছি। এভাবে টানা ৫-৭ বছর পর্যন্ত ফল বিক্রি করা যাবে। ঢাকাতে এ কুল ১০০-১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তিনি এখনও বিক্রি শুরু করেননি। দিন দশেক পর থেকে শুরু করবেন। সব মিলিয়ে এ বছর তিনি ৮-৯ লাখ টাকার কুল বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

কাশ্মিরি কুল তিনি আরও বলেন,  ‘ছোট বেলা থেকেই কৃষির প্রতি আলাদা ভালো লাগা ছিল। তাই লেখাপড়া শেষ করে চাকরি নামক সোনার হরিণের পেছনে না ছুটে নেমে পড়ি কৃষি কাজে। জমি লিজ নিয়ে শুরু করি ফলসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ। কিন্ত ভাগ্য যেন কোনোভাবেই সহায় হচ্ছিল না। বছর চারেক আগে প্রায় ৭ বিঘা জমিতে গড়ে তুলি পেয়ারার বাগান। পেয়ারা চাষেও আমি লাভের মুখ দেখতে পারিনি। এরপর ৩ বিঘা জমিতে লাউয়ের আবাদ করি। তাতেও হয়ে যায় মোটা অংকের লোকসান। কিন্ত আমি হাল ছাড়িনি। পরে কৃষি অফিসের পরামর্শে আপেল কুলের চারা লাগানোর পর ওই জমিতেই ফুলকপির আবাদ করেছিলাম। আড়াই লাখ টাকার মতো লাভও হয়েছে। এখন দেশের দূর-দুরান্ত থেকে লোকজন ছুটে আসছে কুল বাগান দেখতে। যা আমাকে আরও অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করে তুলেছে।’

কাশ্মিরি কুলের বাগানে সোহাগ বেকার যুবকদের উদ্দেশে সোহাগ বলেন, ১ বিঘা জমিতে ১৩০-১৪০টি চারা লাগানো যায়। ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে ১ বিঘা জমিতে কুল বাগান করে বছরে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। কুল চাষেই ঘুরে যেতে পারে বেকার যুবকদের ভাগ্যের চাকা।

কাশ্মিরি কুলের বাগান দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ শামিউর রহমান জানান, রৌদ্রুজ্জ্বল, উচুঁ জমিতে কুল বাগান ভালো হয়। যে বাগানে যত বেশি রোদের আলো লাগবে সেই জমির কুল বেশি মিষ্টি হবে। ৫-৬ হাত দুরত্ব গাছের চারা রোপণ করতে হয়। তুলানামূলক রোগ-বালাইও কম। নতুনভাবে কেউ যদি কাশ্মিরি আপেল কুলের বাগান করেন এবং পরামর্শ চাইলে তাকে অবশ্যই সার্বিক সহযোগিতার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হবে। 

/এসটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
৮০ হাজার প্রতিযোগীর মধ্যে শীর্ষ দুইয়ে ব্রিটিশ বাংলাদেশি উদ্যোক্তা আনিসা
৮০ হাজার প্রতিযোগীর মধ্যে শীর্ষ দুইয়ে ব্রিটিশ বাংলাদেশি উদ্যোক্তা আনিসা
থানায় ওসির টাকা নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল
থানায় ওসির টাকা নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল
সংস্কারের পর নির্বাচনের দাবিতে ‘মার্চ ফর ড. ইউনূস’ কর্মসূচি
সংস্কারের পর নির্বাচনের দাবিতে ‘মার্চ ফর ড. ইউনূস’ কর্মসূচি
বৃষ্টিভেজা ম্যাচে বেঙ্গালুরুকে উড়িয়ে দিলো পাঞ্জাব
বৃষ্টিভেজা ম্যাচে বেঙ্গালুরুকে উড়িয়ে দিলো পাঞ্জাব
সর্বাধিক পঠিত
পরীক্ষা ভালো হয়নি, বাড়ি ফেরার পর ঘরে এসএসসি পরীক্ষার্থীর লাশ
পরীক্ষা ভালো হয়নি, বাড়ি ফেরার পর ঘরে এসএসসি পরীক্ষার্থীর লাশ
সন্তান বিক্রি করে জুয়েলারি ও মোবাইল কিনেছেন মা
সন্তান বিক্রি করে জুয়েলারি ও মোবাইল কিনেছেন মা
‘বাবা বাইরে মা ঘুমিয়ে’, দুই শিশুসন্তানকে কুপিয়ে হত্যা করলো দুর্বৃত্তরা
‘বাবা বাইরে মা ঘুমিয়ে’, দুই শিশুসন্তানকে কুপিয়ে হত্যা করলো দুর্বৃত্তরা
রাজধানীতে আবার আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
রাজধানীতে আবার আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
জাতীয় পুরস্কারের সম্ভাব্য তালিকায় যারা
জাতীয় পুরস্কারের সম্ভাব্য তালিকায় যারা