বাংলাদেশ জুটমিল করপোরেশন (বিজেএমসি)’র অধীনে থাকা সরকারি মিলগুলোয় পাট কেনার কার্যক্রম মনিটরিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পাট কেনার কার্যক্রমকে স্বচ্ছতায় আনতে, মানসম্মত পাট কেনা নিশ্চিত করতে এবং পাট কেনা সম্পর্কিত বিভিন্ন অনিয়ম-ত্রুটি দূর করতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।
এ লক্ষ্যে বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত বিজেএমসি’র পাটক্রয় কেন্দ্র তদারকি করার জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ১৫(পনের) টিম গঠন করেছে মন্ত্রণালয়। চলতি পাটের মৌসুমে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ও ন্যায্য মূল্যে পাট কেনা নিশ্চিত করতে এসব টিম কাজ করবে । সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব প্রদীপ কুমার সাহা স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, এ কমিটি পাট ক্রয়কালীন মৌসুমে প্রতি মাসে অন্তত ১(এক) বার সরেজমিনে ক্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করবে। দৈনিক পাট ক্রয়সংক্রান্ত তথ্যাদি (পরিমাণ,গ্রেড, দর, মিলে সরবরাহের পরিমাণ ইত্যাদি) সংগ্রহ ও মনিটরিং করবে। পাট ক্রয়কেন্দ্রের সাপ্তাহিক প্রতিবেদন এ মন্ত্রণালয় দাখিল করবে। পাটক্রয় কেন্দ্র সংক্রান্ত কোনও অনিয়ম বা সমস্যা দেখা দিলে তা সমাধানের জন্য ক্রয়কেন্দ্রে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, কর্মচারীদের সার্বিক নির্দেশনা প্রদান করবে। প্রয়োজনে মন্ত্রণালয়ের সচিবকে অবহিত করবে।
উল্লেখ্য, বিজেএমসি প্রতিবছর নিজস্ব পাট ক্রয়কেন্দ্রের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন পাট উৎপাদিত অঞ্চলের কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ন্যায্য মূল্যে পাটক্রয় নিশ্চিত করে। বিগত পাট মৌসুমে বিজেএমসি ৯৮টি পাট ক্রয়কেন্দ্রের মাধ্যমে পাট কেনার কাজ সম্পন্ন করেছে। এবছর বিজেএমসি ৫৭টি পাট ক্রয়কেন্দ্র পরিচালনা করছে ।